1. news@banglaislamicnews.com : admin :
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন

যাচাইয়ের সুযোগ পাচ্ছে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে স্থগিত হওয়া প্রাথমিকের বৃত্তির ফল বুধবার (১ মার্চ) রাতে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। এতে মোট প্রাপ্ত বৃত্তির সংখ্যার পরিবর্তন হয়নি। তবে আগের তালিকায় ভুলক্রমে নাম থাকা অনেকেই সংশোধিত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।

প্রাপ্যতা ছিল, কিন্তু কারিগরি ত্রুটির কারণে বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা নতুন করে তালিকায়‌ যুক্ত হয়েছেন। ফলে আগের তালিকায় নাম থাকা অনেকেই বাদ পড়েছেন। সেসব শিক্ষার্থীদের জন্য ফল যাচাই করে দেখার সুযোগ দিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকেলে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিপিই পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. উত্তর কুমার দাশ। তিনি বলেন, বৃত্তির ফল চ্যালেঞ্জ ও পুনঃনিরীক্ষণ করার সুযোগ আইনে নেই। তারপরও এবার যেহেতু অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ঘটেছে তাই আমরা এ সুযোগটি দিতে চাই। কি কারণে তিনি বৃত্তি পায়নি আবেদনকারী ব্যাখ্যাসহ দেওয়া হবে।  

তিনি বলেন, সংশোধিত ফলে কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে বা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে কিন্তু কোনও তালিকায় নাম আসেনি, তিনি চাইলেও এ আবেদন করতে পারবেন। আমরা তাদের আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখবো। দেশে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় বা অধিদপ্তরে এ আবেদন করতে পারবেন বলে জানান তিনি। তবে এটাকে চ্যালেঞ্জ বলা যাবে। এই কর্মকর্তার দাবি, সংশোধিত ফল প্রকাশের পর প্রকৃত মেধাবীদের কোনও অভিযোগ থাকার কথা নয়।  

কর্মকর্তারা বলছেন, বৃত্তির ফলের নানা ধরনের কোটা থাকে। এসব কোটার কারণে অনেক অভিভাবক ভাবতে পারে ওই স্কুলের বাচ্চা বৃত্তি পেলে আমরা বাচ্চা কেন পাবে না। খোঁজ নিলে জানা যাবে ,বৃত্তি না পাওয়া শিক্ষার্থী পৌরসভার মধ্যে কোন স্কুলের, বৃত্তি পাওয়া বাচ্চাটা গ্রামের কোন স্কুলের। এসব বিভ্রান্তি দূর করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

যেভাবে তৈরি হয় বৃত্তির ফল
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বৃত্তি শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, বৃত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে মূলত দুটি নিয়ম অনুসরণ হয়। একটি হচ্ছে, ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুল (মেধা) বৃত্তি, যা উপজেলা বা পৌরসভাভিত্তিক বণ্টন করা হয়। সারা দেশের মোট ছাত্রছাত্রীকে উপজেলা বা পৌরসভার শিক্ষার্থী সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হয়।

এরপর আনুপাতিক হারে বৃত্তির সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। এতে যে ফল বা সংখ্যা আসে, সেটি সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা পৌরসভার মোট ট্যালেন্টপুল বৃত্তি। এরপর ওই উপজেলা/পৌরসভার সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তদের মেধা তালিকা অনুযায়ী শ্রেষ্ঠদের এ বৃত্তি বণ্টন করা হয়।

দ্বিতীয়ত, সাধারণ গ্রেডের বৃত্তি বণ্টনের ক্ষেত্রে সারা দেশের উপজেলার ক্ষেত্রে মোট ইউনিয়ন আর পৌরসভার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড সংখ্যা বিবেচনায় নেওয়া হয়। সারা দেশে যে কয়টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আছে সেগুলোকে ৬ দিয়ে গুণ করা হয়।

এরপর প্রতি ইউনিয়ন (উপজেলা) ও ওয়ার্ডে (পৌরসভা) ৩ জন ছেলে ও ৩ জন মেয়েকে বৃত্তি দেওয়া হয়। যদি কোনো ইউনিয়নে ছেলে বা মেয়ের সংখ্যা এর কম থাকে, তাহলে বিপরীত লিঙ্গের শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়।

যদি কোনো ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে কৃতকার্য শিক্ষার্থী পাওয়া না যায়, তাহলে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে সেই বৃত্তি (৬টি) চলে যায়। সাধারণ গ্রেডে বৃত্তির ক্ষেত্রে এবার ৮ হাজার ১৪৫টি উপজেলা ইউনিয়ন/ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৬টি (৩ জন ছাত্র ও ৩ জন ছাত্রী) হিসাবে ৪৮ হাজার ৮৭০টি বৃত্তি দেওয়া হয়। এরপরও ৬৩০টি বৃত্তি অবশিষ্ট ছিল। সেগুলো থেকে প্রতিটি উপজেলা/থানায় ১টি করে মোট ৫১৩টি উপজেলা/থানায় ৫১৩টি সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। বাকিটা দেওয়া সম্ভব হয়নি।  

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright ©banglaislamicnews.com
Theme Customized By BreakingNews