বদরের যুদ্ধ ছিল হক ও বাতিলের চূড়ান্ত লড়াই। এই যুদ্ধের মাধ্যমে হক বাতিল চিরদিনের জন্য পৃথক হয়ে যায়। মক্কার জীবনে চরম নির্যাতনের মধ্যেও রাসূলুল্লাহ (সা:) সাথীদের নিয়ে বাতিলের সাথে আপোষ করেননি। সীমাহীন ধৈর্যের মাধ্যমে নিরবে সমস্ত নির্যাতন সহ্য করেছেন। একপর্যায়ে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেই ইসলামী রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার জন্য মক্কার কাফেররা বদর প্রান্তরে আসলে ইসলামী ইতিহাসের প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ ‘বদর যুদ্ধ’ সংঘটিত হয়। মুসলমানগণ ঈমানী পরীক্ষায় বিজয়ী হন। কেয়ামত পর্যন্ত এ বিজয় মুসলমানদের জন্য অনুকরণীয় মডেল। তাই বিশ্ব মুসলমানের উচিত, বদরের চেতনা থেকে অন্যায়ের প্রতিরোধ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আপোষহীন দীক্ষা গ্রহণ করা। দেশে দেশে আজ কাফির মুশরিকদের সাথে মুসলিম নেতৃত্বগুলোর আপোষকামীতার যে মহড়া চলছে তা থেকে মুসলিম উম্মাহকে বেরিয়ে আসতে হবে। আপোষকামী নেতৃত্বের ফলে বিশ্বব্যাপী আজ মুসলমানরা চরম নির্যাতিত, নিপীড়িত; নিষ্পেষিত। সংকট- মহাসংকটে মুসলিম উম্মাহ আজ জর্জরিত। প্রতিটি মুসলিম দেশেই চলছে বদরের পরিস্থিতি। ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লেবানন, পাকিস্তান,ইয়ামেনসহ অসংখ্য দেশে আজ বদরের পরিস্থিতি দৃশ্যমান। এই গ্লানিকর জীবন থেকে মুক্তি পেতে হলে বদরের সেই প্রতিরোধ সংগ্রাম ও আপোষহীনতার চেতনা ধারন ও লালন করতে হবে। ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত “বদর যুদ্ধের চেতনা ও মুসলিম উম্মাহর করণীয়” শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
আজ ১৭ই রমজান, ৯ এপ্রিল ২০২৩ রবিবার, বিকেল ৪টায় পুরানা পল্টনস্থ পল্টন টাওয়ারের ৪র্থ তলায় ইকোনমিক্স রিপোর্টাস ফোরাম মিলনায়তনে আন্দোলনের নগর আমীর জনাব মোস্তফা বশীরুল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মাদ এরশাদ উল্যাহ ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ রুহুল আমীন, সেক্রেটারী জেনারেল জনাব মোস্তফা তারেকুল হাসান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ন মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল জলিল ,অর্থ সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমাদ, ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আসআদুল্লাহ, আন্দোলনের মজলিসে শূরা সদস্য মওলানা আনোয়ার হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা হাফেজ হযরত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব এফএম আলী হায়দার, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুখতার আহমাদ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জনাব আজমল হোসেন প্রমুখ।
Leave a Reply